এনবি নিউজ , কক্সবাজার : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি যদি চায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে, তাঁর (খালেদা জিয়া) আসলে কী হয়েছে, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু সেগুলোর তোয়াক্কা না করে, শুধু বিদেশে নিয়ে যাওয়ার যে ধোঁয়া তুলছেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
কক্সবাজার বিমানবন্দরে আজ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার জন্য যে সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছেন, যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটি তুলনাহীন-বিরল। খালেদা জিয়া একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। তিনি জামিন পাননি, তাঁর সাজা মওকুফ হয়নি কোনোভাবেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী আইন প্রদত্ত প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাঁকে কারাগারের বাইরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন, আত্মীয়-পরিবার-পরিজনের সঙ্গে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু, গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে ভাষায় কথা বলেছেন, আমাদের মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা প্রদর্শন করেছেন, সেটি তাঁরা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন আমাদের ভাবতে হবে, প্রধানমন্ত্রী যে প্রশাসনিক আদেশে আইনি ক্ষমতাবলে তাঁকে কারাগারের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সেটি পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না, তাঁকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন কি না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষ। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই তিনি তাঁর জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন। প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণেই তাঁর সরকারের সময় তাঁর পুত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তাঁর (খালেদা জিয়া) বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁর পুত্রের মৃত্যুর পর অনেকক্ষণ দরজা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি সৌজন্যতাবশত খোলেননি। এমন একজন প্রতিহিংসাপরায়ণ মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, যে সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, এটা বিএনপি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন আমাদের ভাবতে হবে, তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে কি না।’
এ ছাড়া বাসে হাফ ভাড়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে যখন শিক্ষার্থী ছিলাম, বাসে হাফ ভাড়া দিয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়তাম, হাফ ভাড়া দিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতাম। একটি বাসে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী থাকে, সেখানে হয়তো দুই-তিন জন শিক্ষার্থী থাকে। হয়তো স্কুল ছুটির সময়, কলেজ ছুটির সময় একটু বেশি থাকতে পারে। সাধারণত দুই-তিন জনের বেশি শিক্ষার্থী যাত্রী থাকে না। সুতরাং, আমি মনে করি, পরিবহণ মালিকেরা এবং পরিবহণ কোম্পানিগুলো এটি বিবেচনা করতে পারে।’