এনবি নিউজ : কোরবানির ঈদের নির্ধারিত ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। শনি-রবিবার অনেক চাকরিজীবী শহরে ফিরলেও সোম-মঙ্গলবার থেকে ফিরছেন অন্য কর্মজীবীরাও। বুধবার (১৩ জুলাই) অনেক সাধারণ মানুষকেও ফিরতে দেখা গেছে ঢাকায়।
এদিন কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চঘাট এবং মহাখালী, গাবতলী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ভরপুর যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন, বাস ও লঞ্চ ঢাকায় ফিরেছে। উপচে পড়া চাপ না থাকলেও যাত্রীদের কমতি নেই। তবে গণপরিবহনের চেয়ে ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতি-শুক্রবারে সড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রীর চাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। শনিবারের পরে মূলত ঢাকায় ফেরা মানুষের উপচে পড়া চাপ তৈরি হতে পারে। বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ না ফেরায় রাজধানীর গণপরিবহনের সংখ্যাও কম দেখা যাচ্ছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকে যেসব ট্রেন রাজধানীতে ফিরেছে, সেগুলো যাত্রীতে পূর্ণ ছিল। তবে বগির ছাদে আসতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে কর্মজীবীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পরিবার নিয়েও অনেকে ঢাকায় ফিরেছেন।
গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পরিবহন কর্মীরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা কোনও বাসের আসন ফাঁকা আসেনি। যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
এ ছাড়া লঞ্চের ক্ষেত্রে এই সময়ে যাত্রীদের উপস্থিতি আগের চেয়ে কমেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকে সড়কপথে ঢাকায় ফিরছেন। লঞ্চকর্মীরা বলছেন, যাত্রী সংখ্যা কম থাকলেও শুক্র-শনিবার বাড়বে। নারী-শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের সংখ্যাটা বেশি।
এদিকে, শহরের অলিগলি এবং ফুটপাতের দোকানপাট খুলতে শুরু করলেও বেচাকেনা কম। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মল। গুলিস্তান, পুরানা পল্টন, মালিবাগ, রামপুরা, সায়েদাবাদ ও মহাখালী ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ টি