প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বৈঠকের পর হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী রাত পৌনে ১২টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেরার আহ্বান জানান। এরপর সড়ক থেকে মাদ্রাসায় ফিরে যান তাঁরা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতা–কর্মী ও মুসল্লিদের একাংশের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে বিক্ষোভে নামেন হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ চারজন নিহত হন। পরে ছাত্ররা হাটহাজারী–নাজিরহাট সড়ক অবরোধ করেন।
স্থানীয় সাংসদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পুলিশের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাসিরউদ্দিন মুনীর, সহকারী অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ এবং মাদ্রাসাশিক্ষক মুফতি জসিমউদ্দিন ও ইয়াহিয়ার দুই দফা বৈঠক হয়। প্রথম দফা বৈঠক চলে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু ওসি প্রত্যাহারসহ হেফাজত নেতাদের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রথম বৈঠকটি ব্যর্থ হয়। পরে রাত ১১টা থেকে আবার বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে হেফাজত নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সাংসদ ও ডিআইজি বলেছেন, তাঁরা কিছু দাবি মেনে নিয়েছেন। ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে হেফাজতের আমির মাদ্রাসার মাইকে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় ফেরার আহ্বান জানান।