এ কোম্পানিগুলো থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী লাভবান হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির অভ্যুত্থানকারীদের ওপর চাপ বাড়াবে বলেও মনে করছে তারা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও এর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পশ্চিমা দেশও মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারে গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী ফেব্রুয়ারিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে নিজেরা ক্ষমতায় বসে।
তারপর থেকে দেশটি টানা বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও আইন অমান্য আন্দোলন দেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক দমনপীড়নের আশ্রয় নিতে হয়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়তেও হচ্ছে।
“মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও এর নেতারা পথ বদলে গণতন্ত্রের পথে না ফিরলে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবো,” নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার তারা মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর মারাত্মক বল প্রয়োগ করার দায়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ৭ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; যাদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রীসহ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্যও আছেন।
এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের ১৫ সদস্যকেও এ দফার নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ওয়ানবাও মাইনিং লিমিটেড এবং তার দুটি শাখা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ওয়ানবাও মাইনিং কপার লিমিটেড ও মিয়ানমার ইয়াং সে কপার লিমিটেডকে। কালো তালিকায় ঢোকা অন্য কোম্পানিটি হচ্ছে কিং রয়েল টেকনোলজিস লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ওয়ানবাও মাইনিং এবং এর শাখা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের আয় ভাগাভাগি করে নেওয়ার চুক্তি আছে। আর ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের হাত ধরেই সেই আয়ের অংশ যায় মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে, যারা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের জন্য কার্যত দায়ী।
স্যাটেলাইট যোগাযোগ সেবার মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করায় কালো তালিকায় যুক্ত হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি কিং রয়েল টেকনোলজিস।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোতে মার্কিন পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।