এনবি নিউজ : এক সময় বার্সেলোনায় সতীর্থ ছিলেন দুজন। লিওনেল মেসি ও নেইমারের সেই বন্ধুত্ব এখনো অটুট। আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছে ব্রাজিল। তাতেও দুজনের সম্পর্কে একটুও ভাটা পড়েনি। ম্যাচ শেষে দুজনকে একসঙ্গে বসে কথা বলতে দেখা যায়। কী কথা বলেছিলেন তারা, তা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
কোপা আমেরিকা কাপের ফাইনালে মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছে নেইমারের ব্রাজিল। হতাশায় কেঁদেই ফেলেন ব্রাজিলীয় তারকা। এই সময়ে এগিয়ে গেলেন মেসি। নেইমরাকে সান্ত্বনা দিতে ভোলেননি। মেসির কাঁধেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন এই পিএসজি তারকা। পরে ব্রাজিলীয় তারকার সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেন আর্জেন্টিনার তারকা।
দলের হারে হতাশ নেইমার অবশ্য মেসিদের জয়ে বেশ খুশি। তিনি বলেন, ‘গতকাল হেরে যাওয়ার পর আমি গিয়ে সময়ের সেরা খেলোয়াড়কে আলিঙ্গন করি, সে আমার বন্ধু ও ভাই মেসি। আমার মন খারাপ ছিল এবং তাকে মজা করে বলি, ‘তুমি আমাকে হারিয়ে দিলে!’
ব্রাজিলীয় তারকা আরও বলেন, ‘হেরে যাওয়ায় আমি হতাশ, কিন্তু এই মানুষটা (মেসি) অসাধারণ। ফুটবলের জন্য, বিশেষ করে আমার জন্য সে যা করেছে তার প্রতি আমার রয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান।’
গতবার চোটের কারণে ব্রাজিলের জয়ের অংশ হতে পারেননি নেইমার। এবার সেই অধরা খেতাব জিততে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। তবে তীরে এসে তরি ডুবে। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলেও ফাইনালে বাধা অতিক্রম করতে পারল না ব্রাজিল।
নিজের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা হাতছাড়া করে হতাশ হন নেইমার। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ঠিক এই সময় তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ান মেসি। জড়িয়ে ধরেন নেইমারকে। তাই জয়-পরাজয়ের উর্ধ্বে উঠে ভালবাসার ধ্বনি।
দীর্ঘ ২৮ বছর এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টিনা। অপেক্ষায় ছিল, জাতীয় দলের হয়ে সময়ের সেরা ফুটবলার মেসির হাতে শিরোপা দেখার। অবশেষে সব অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে স্বপ্নের ট্রফি জিতল আর্জেন্টিনা।
গতকাল রোববার ঐতিহাসিক মারাকানায় ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনা শিরোপার উল্লাস করে। ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ডি মারিয়া। ২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর প্রথম আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে কোপার ফাইনালে গোল করলেন ডি মারিয়া।
মারাকানায় ম্যাচটিতে বল দখলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। প্রথমার্ধের ৬০ ভাগ সময় বল দখলে রেখেছেন নেইমাররা। আক্রমণেও এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে ১৩টি শট নিয়েছে ব্রাজিল, যার মধ্যে দুটি ছিল অনটার্গেটে যাওয়ার মতো। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার পাঁচ শটের মধ্যে লক্ষ্যে যাওয়ার মতো ছিল দুটি। তার মধ্যেই সফল লিওনেল স্কালোনির দল।