এনবি নিউজ : লকডাউনের বিধিনিষেধ শেষে স্বাস্থ্যবিধি মানার হুঁশিয়ারি দিয়ে আগামী বুধবার থেকে চালু হতে যাওয়া ট্রেনের জন্য আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ সোমবার সকাল ৮ থেকে শুরু হয়েছে এই অগ্র্রিম টিকেট বিক্রি। এসময় রেলওয়ে পুলিশকে মাইক হাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়াতে এবং মাস্ক পড়ার জন্য অনুরোধ করতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রামের যাত্রী হাসান উদ্দিন বলেন, “রেলের অ্যাপে লাইনই পাওয়া যায় না। সেজন্য মালিবাগ থেকে সকালে চলে এসেছি। এখনো টিকেট কাউন্টারের কাছে যেতে পারিনি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। চারটা টিকেট আমার দরকার।”
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, আন্তঃনগর ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপে এবং বাকি অর্ধেক টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছে।
লকডাউন শেষে আগামী বুধবার থেকে চলবে ট্রেন। এজন্য সোমবার থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হয়েছে আগাম টিকেট বিক্রি। অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপে বিক্রি হবে টিকেট।
স্টেশনে প্রথম শ্রেণি ও তাপানুকূলসহ শোভন প্রভৃতি শ্রেণিতে টিকেটের জন্য লাইন দেখা গেছে। নারীদের টিকেট কাটার জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা রয়েছে।ময়মনসিংহের যাত্রী ফরিদা আখতার বলেন, “মতিঝিল কলোনিতে থাকি। ছেলে-মেয়েসহ বাড়িতে যাব। সেজন্য টিকেট নিতে সরাসরি চলে এসেছি। অনলাইনে চেষ্টা করে পাবো কিনা সন্দেহ আছে বলে স্বশরীরে এসেছি। টিকেটও পেয়ে গেছি।”
আগামী বুধবার থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকার গণপরিবহনে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী বহনের সুযোগ দেওয়ায় সব আসন ভর্তি করেই চলবে ট্রেন।
এর আগে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সবাইকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সতর্ক করে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
লকডাউন শেষে আগামী বুধবার থেকে চলবে ট্রেন। এজন্য সোমবার থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হয়েছে আগাম টিকেট বিক্রি। অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপে বিক্রি হবে টিকেট।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হলে অন্যসব যাত্রীবাহী গণপরিবহনের মত ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ঈদ ঘিরে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল করা হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও ট্রেন চালু করে।এরপর ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হলে ট্রেনও থেমে যায়। ১৯ দিনের এই কঠোর লকডাউন আগামী মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। বুধবার থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে।
সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, বিপণি বিতান ও দোকানপাট ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ চালু করা অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।