এনবি নিউজ : পাঁচ বছর পর আগামীকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা। সম্মেলনের কয়েকদিন পরেই ঘোষণা করা হবে কমিটি। কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান হবে না বলে জানিয়েছেন নেতারা।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সম্মেলন করেছিল ছাত্রলীগ৷ ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা আটকে ছিল।
ঢাবি ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, হল সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, “নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিশেষ করে একুশ শতকের এ পর্যায়ে ‘নিউ নরমাল রিয়েলিটি’ বিবেচনায় নিয়ে রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের উপযোগী মানবসম্পদ গড়তে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন কর্মীদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হবে।”
সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, “করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি বিশেষ উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান বরাবরের মতোই ‘জিরো টলারেন্সে’ থাকবে।”
সংবাদ সম্মেলনে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা সময়মতো হল সম্মেলন করতে পারিনি। অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতে অনেক কিছু ব্যাহত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একমাত্র প্রত্যাশা ছাত্রলীগ। আর হলগুলোতে আমরা দক্ষ নেতৃত্ব চাই। যারা মেধাবী, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারকে বুকে ধারণ করবে তাদেরকেই নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো রকম নেতিবাচক বিষয় আছে তাদের বিবেচনা করা হবে না।’
নেতৃত্ব নির্বাচনের মাপকাঠি কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘যাদের নামে অভিযোগ রয়েছে, খারাপ ইতিহাস থাকে, কোনো ধরনের মামলা রয়েছে অথবা অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত, শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত তাদের অবশ্যই আমরা নেতৃত্বে আনতে দেব না। সৎ মেধাবী ও দেশমাতৃকার জন্য আপসহীন, সামনে জাতীয় নির্বাচনে যেকোনো বাধা মোকাবিলা করতে পারবে—এ ধরনের নেতৃত্ব অগ্রাধিকার পাবে।’
সনজিত চন্দ্র দাস আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পর্যায়ের যাঁরা আছেন, তাঁরা যখন নির্দেশনা দেবেন আমরা প্রস্তুত আছি। ৩০ তারিখ হল সম্মেলন শেষে সর্বোচ্চ দুই-তিন দিন অথবা এক সপ্তাহ লাগতে পারে। আমি নিজেও পদপ্রত্যাশী ছিলাম, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব কমিটি দিতে। আমাদের ভাই-বোনেরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন।’
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনার আলোকে আমদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত। নেতারা যখনই সম্মেলনের জন্য ডাকবেন, আমরা বসব, আমরা প্রস্তুত আছি।’