এনবি নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার শত শত যুদ্ধবিমান নিয়ে তাদের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এ সামরিক মহড়া বন্ধ না করলে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এই মহড়া শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। খবর আরব নিউজের।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন ধরনের সামরিক মহড়ার জবাবে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সর্বশেষ দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে- যদি এই মহড়া বন্ধ না করা হয়, তাহলে পরবর্তী সব পরিণতির দায় ওয়াশিংটনকেই বহন করতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যখন আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে, তখন দুই দেশ এ মহড়া শুরু করল। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এ মহড়া চলবে।
যৌথ এ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’। উত্তর কোরিয়া আরেকটি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে এ মহড়া চালাচ্ছে দুই দেশ।
এতে যুক্ত থাকছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ১৪০টি যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে আছে মার্কিন নির্মিত এফ-৩৫এ স্টিলথ যুদ্ধবিমান, এফ-১৫কে এবং কেএফ-১৬ যুদ্ধবিমান।
অন্যদিকে আমেরিকা পাঠিয়েছে প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে আছে এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান। বিপুলসংখ্যক ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার, ট্যাংকার বিমান, বহু উঁচুতে চলমান যুদ্ধবিমান ইউ-২।
এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিমান। তাদের মোতায়েন করার কথা কেসি-৩০এ ট্যাংকার ট্রান্সপোর্ট।
মার্কিন বিমানবাহিনীর মতে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা মহড়ার মধ্যে প্রায় ১৬০০ অভিযান চালাবে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার উসকানির জবাবে দুই দেশ অপারেশন এবং কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
এ টি