গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগণ নিজেই জয়ী হবে।’
আজমত উল্লা বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতি দেখার মতো রয়েছে। সকাল থেকেই গাজীপুরবাসী ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গাজীপুরবাসীর গত ১০ বছরের হতাশা দূর হবে। এজন্য তারা এক বুক আসা নিয়ে সকাল থেকে কেন্দ্রে আসছেন এবং সবাই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
গাসিকে আজ সকাল সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন গঠিত হবার পর তৃতীয় নির্বাচন এটি।
আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন এটি। মেয়র, ৫৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে আজ ভাটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন প্রতিনিধি।
সিটিতে লড়ছেন মেয়র পদে আট প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন, অর্থাৎ মোট ৩২৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ভোটের জন্য ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪৯৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার এবং ছয় হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন সহায়ক রয়েছেন ১০ হাজার ৯৭১ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনী ১৩ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রায় ৩৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ৩০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, মহিলা ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।