এনবি নিউজ : শ্রম মন্ত্রণালয় ও পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ৯ মের মধ্যে কারখানাগুলোকে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু গতকাল ১০ মে দুপুর পর্যন্ত ২৮১৮টি অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়নি। অন্যদিকে বোনাস পরিশোধ হয়েছে ৫২২৭টি কারখানায়। অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ কারখানায় বোনাস পরিশোধ হয়নি। মোট ৭৮৯২টি পোশাক কারখানার এই চিত্র উঠে এসেছে শিল্প পুলিশের জরিপে।
শিল্প পুলিশের তথ্য বলছে, দেশে বেপজা ও অন্য এলাকায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএর সদস্যভুক্ত মোট ৭৮৯২টি গার্মেন্টস আছে। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব কারখানার মধ্যে এপ্রিলের বেতন দিয়েছে ৫০৭৪টি কারখানা (প্রায় ৬৫ শতাংশ)। বোনাস দিয়েছে ৫২২৭টি কারখানা (প্রায় ৬৭ শতাংশ)।
তবে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ৯০ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কারখানায় আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা হবে। বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে ৯২ শতাংশ কারখানায়। বাকি ৮ শতাংশ কারখানা আজকের মধ্যে পরিশোধ করবে। কিন্তু বিজিএমইএর এই তথ্যের সঙ্গে একমত হতে পারছে না শ্রমিক পক্ষ। তারা বলছেন, মালিকপক্ষ সবসময় বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেয়। এখনো ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ হয়নি। আর বোনাস হয়নি ৪০-৫০ শতাংশ কারখানায়।
শিল্প পুলিশের জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো বেতন-বোনাস দেওয়ায় পিছিয়ে আছে। মোট ৮১৬টি কারখানার মধ্যে ৪১০টিতে বেতন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক কারখানায় বেতন দেওয়া হয়নি। অবশ্য বোনাস দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৫০ কারখানায়। উল্টো চিত্র বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার। এক হাজার ৬৪৩টি কারখানার মধ্যে বেতন বাকি আছে ৩৭৪টিতে। আর বোনাস বাকি ৫৫৮টি কারখানার।
শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার আমাদের সময়কে বলেন, ‘সবসময় দেখেছি বিজিএমইএ মনগড়া তথ্য দেয়। তাদের তথ্য সঠিক নয়। এখনো প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়নি; বোনাস হয়নি প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ কারখানায়। ছোট-মাঝারি কারখানাগুলোর কথাতো বাদই দিলাম। যখন পরিস্থিতি ভালো দেখে, তখন ছোট-মাঝারি কারখানাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে বিজিএমইএ। আর পরিস্থিতি খারাপ দেখলে বলে ওগুলো আমাদের সমস্যা না। তা হলে এ শ্রমিকদের দেখবে কে?
এ টি