এনবি নিউজ : গত বছরের এপ্রিলে যে উচ্চ মাধ্যমিক তথা এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, শেষ পর্যন্ত ছয় মাস পর সেই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, ওই পরীক্ষায় যাদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তাদের সবাইকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। তবে আগের শিক্ষাজীবনের ফলের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে গ্রেড।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার এই ফল ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত থাকবেন ফলপ্রকাশের অনুষ্ঠানে।
২০২০ সালে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল। পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এর আগেই ১৭ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়।
ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যাদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তাদের সবাইকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। এসএসসি ও জেএসসি এবং এগুলোর সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তাদের ফল তৈরি করা হবে।
এদিকে, এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করতে গিয়ে বেশকিছু জটিলতা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেসব জটিলতা নিরসন করে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়। তবে এ পর্যায়ে এসে ফলপ্রকাশ নিয়ে দেখা দেয় আইনি জটিলতা। কেননা, পরীক্ষা না নিয়ে এরকম কোনো পাবলিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের কোনো বিধান দেশে ছিল না।
এ পরিস্থিতিতে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সংশোধিত) আইন’টিতে সংশোধনী আনা হয়। গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংশোধনীতে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ২৪ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশোধিত বিলটি উত্থাপন করলে তা পাস হয়।
পরদিন ২৫ জানুয়ারি পাস হওয়া বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্মতি দিলে সেগুলো আইনে পরিণত হয়। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেটও জারি করেছে সরকার। ফলে পরীক্ষা না হলেও ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের ফলপ্রকাশে সব বাধা দূর হয়ে যায়।
আত/৩০ জানুয়ারি’২০২১