এর আগে গত শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, বিধিনিষেধ বাড়বে কি না, তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বাড়াতে বলা হয়েছে। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিকল্প কী হতে পারে, সেসব নিয়েও সরকারের মধ্যে আলোচনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ আগস্টের মধ্যে তা জানানোর চেষ্টা করা হবে।
এর আগে কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ কলকারখানা এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্পও এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার কথা জানিয়েছিল সরকার।
তবে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষিপণ্য-উপকরণ, খাদ্যশস্য-খাদ্যদ্রব্য পরিবহন বা বিক্রি, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, সিটি করপোরেশন, পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।
কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়–বিক্রয় করা যাবে। টিকার কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাঁদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট বা প্রমাণ দেখিয়ে গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন।
আর ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনায় চলছে।