গত বৃহস্পতিবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছিল, রিয়াদগামী ১৭ এপ্রিলের ফ্লাইট ভোর ৪টার পরিবর্তে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে। যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত হতে হবে।
নির্দেশনা অনুসারে এই ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে রাত ১টার মধ্যেই বিমানবন্দরে আসেন যাত্রীরা। কেউ কেউ আরও কয়েক ঘণ্টা আগে এসেই অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু রাত ২টার দিকে যাত্রীদের জানানো হয়, ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। সৌদি আরব বিমানকে সে সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়নি। এ খবর শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। তারা বিমানবন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ মুখেই বিক্ষোভ শুরু করেন। ৩১৪ জন যাত্রী এসেছিলেন এই ফ্লাইটটিতে যাওয়ার জন্য।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার এনবি নিউজকে বলেন, আজ শনিবার বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ছিল। তার মধ্যে চারটি বাতিল হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দাগামী ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে।
সরকার প্রবাসী কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার জন্য শনিবার সকাল ৬টা থেকে (১৭ এপ্রিল) থেকে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয়। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে– সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। শুধু প্রবাসী কর্মীরা এসব ফ্লাইটে যেতে পারবেন। আর দেশে আসলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে প্রবাসী কর্মীদের। পাঁচ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১২টি এয়ারলাইন্সকে অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই ১২টি এয়ারলাইন্স হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।