এনবি নিউজ : বর্তমান সংকট উত্তরণে আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। সেজন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যিনি বন্দি হয়ে আছেন, তাদের নেতৃত্বে আজকে দল সংগঠিত হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনে যেতে হবে এবং এই ভয়াবহ যে দানব আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, সেই দানবকে সরিয়ে দিতে হবে।’
আজ বুধবার ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, এই দানব ছোটখাটো দানব নয়, এটা একটা ভয়াবহ দানব। এরমধ্যে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে, সাম্রাজ্যবাদ এবং আধিপত্যবাদের চক্রান্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের অত্যন্ত শক্তি নিয়ে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এদের সরাতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম এই কোভিডে তারা কীভাবে পুরো বিষয়টাকে উদাসীনতা, অযোগ্যতা, ব্যর্থতা দিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে ফেলেছে। এখন মানুষকে এত বেশি তারা প্রতারণা করে, এত মিথ্যা কথা বলে, এত ভাঁওতাবাজি করে, দেখেন টিকাই এখন পর্যন্ত পুরো সংগ্রহ হলো না। এ পর্যন্ত তিন কোটি টিকাই আনতে পারলো না ভারত থেকে।’
‘তারা এখন বলছে ই্উনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেবে। এগুলো জাতিকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। এই সরকার এই একটা জিনিস খুব ভালো পারে, অবলীলায় গোয়েবলসীয় পদ্ধতিতে মিথ্যা প্রচার করতে থাকে এবং সেই মিথ্যাকে সত্য প্রমাণিত করতে থাকে, যোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা ‘শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন ভিখারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন সন্ত্রাসী দলবাজ মহিলাকে অধ্যক্ষ করা হয়েছে। আমরা দেখলাম যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলো, তারা দুর্নীতি করছে, নিয়োগে দুর্নীতি করছে। এভাবে তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে এবং এই করোনার অজুহাতে তারা শিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে।’
‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তো পুরোপুরি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ব্যাংকিং সেক্টরকে গিলে ফেলেছে। তারা আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষকে জাগাতে হবে, তাদের নতুন স্বপ্ন দেখাতে হবে। মানুষকে সেই সুদিনের গান শোনাতে হবে, যেন তারা জেগে ওঠেন—তাদের সেই পথ দেখাতে হবে।’
এ টি