এনবি নিউজ : ছয় ম্যাচে জুটেছে মোটে দুটি জয়। স্কটল্যান্ডের কাছে বিব্রতকর হারের সঙ্গী হয়েছে পরে সুপার টুয়েলভে টানা তিন হার। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই হতাশার আঁধারেও ইতিবাচকতার আলোর রেশ দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ফলাফল যে ভালো হচ্ছে না, এটা মেনে নিতে অবশ্য কোনো আপত্তি নেই ডমিঙ্গোর। তবে ফলাফলই শেষ কথা নয় তার কাছে। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, দলের হারের নেতিবাচকতার ভিড়ে ইতিবাচক প্রাপ্তিগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে।
“এত ইতিবাচক কিছু পারফরম্যান্স আছে…বিশেষ তরুণ কয়েকজনের। শরিফুল, নাঈম এত ভালো করেছে। যখন সময় ভালো যায় না, তখন অনেকেই ইতিবাচক ব্যাপারগুলো ভুলে যায়। বয়সের দিক থেকে আমরা তরুণ দলের একটি। আমাদের দুই-তিনজন খুবই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকায় লোকে এটা ভুলে যেতে পারে। তবে বেশির ভাগই তরুণ ক্রিকেটার।”
“ফল ভালো হচ্ছে না, কিন্তু তীব্র স্নায়ু চাপের সময়ে ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। আমি নিশ্চিত, এই অভিজ্ঞতা থেকে ওরা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে।”
এমনকি ইতিবাচকতার ছোঁয়া দেখছেন তিনি হেরে যাওয়া ম্যাচগুলোতেও। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়টায় একটু এদিক-সেদিক হলেই এখনকার বাস্তবতা অন্যরকম থাকত বলে মনে করেন কোচ।
“ফলাফলের দিক থেকে আমরা অবশ্যই হতাশ। তবে তিনটির হারের (সুপার টুয়েলভে) দুটিতেই আমরা খুব ভালো অবস্থানে ছিলাম। খুব সহজেই ম্যাচ দুটি জিততে পারতাম এবং এখানে খুব খুশিমনে বসে থাকতে পারতাম। (সাফল্য-ব্যর্থতার) ব্যবধান খুবই ছোট্ট। তাই ভালো দিকগুলোয় আমরা মনোযোগ দিচ্ছি এবং ভুলগুলো উপলব্ধি করে উন্নতির আশায় সামনে তাকচ্ছি।”
সম্মিলিত ম্যাচ খেলার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বক্রিকেটের দারুণ অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি দল। তবে সেই পরিসংখ্যানের একটি ফাঁক মনে করিয়ে দিলেন কোচ। তার মতে, বাংলাদেশ দলটা মূলত তরুণ দল এবং ভবিষ্যতের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে তাদের।
“আমার মনে হয়, খেলোয়াড়দের গড় বয়সের বিবেচনায় সবচেয়ে তরুণ দল নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে এসেছি। নাঈম, আফিফ, শরিফুল, মেহেদি, ওরা সব তরুণ খেলোয়াড়। এরকম বড় মঞ্চে চাপের মধ্যে কিছু খেলোয়াড় ভুল করে। যতক্ষণ ওরা এসব ভুল থেকে শিখছে এবং এখান থেকে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হচ্ছে, সামনের পথচলায় আমরা ততোটা ভালো অবস্থানে থাকব।”