রুপনগরের ঘটনায় নিহতরা হলেন- কোককোলা গাড়ির লেবার রফিক (২৫) ও ট্রাক চালক বাদল (৪৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ফয়সাল (১৯), সেলিম (২৬), রিপন (২৫) ও আলম (৪৫)।
রুপনগরের ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল আটটার দিকে বাদল (৪৫) ও রফিককে (২৫) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
নিহত বাদলের বাবা খলিলুর রহমান জানান, তাদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার ডামুড্ডা উপজেলায়। বর্তমানে উত্তরা নলগোলা এলাকায় থাকেন। বাদল মুন্সিগঞ্জ থেকে পাথর নিয়ে টঙ্গির দিকে যাচ্ছিলেন।
মৃত রফিকের সহকর্মী জিলানী সর্দার জানান, রফিক লেবারের কাজ করতেন। রাতে টঙ্গি থেকে একটি পিকআপে করে কোককোলা নিয়ে শ্যামলী যাচ্ছিলেন। পিকআপের ওপরে ছিলেন চারজন। রুপনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি পাথরের ট্রাক ও একটি বালুর ট্রাকের সঙ্গে পিকআপটির ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপের ওপরে থাকা তিন শ্রমিক ও চালক আলম আহত হন। পরে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে শ্রমিক রফিক মারা যায়। রফিকের বাড়ি লালমনিররহাট সদরে। বাবার নাম আবু জার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।