গত মে মাসে মাহিয়া মাহি নিজেই ফেসবুকে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানিয়েছিলেন। বিচ্ছেদের পর থেকেই ঢালিউড এই অভিনেত্রীর বিভিন্ন ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গুঞ্জন। জুন মাসের এক রাতে হঠাৎ করেই মাহি তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘ওয়েল, আই ক্যান ফিল ইউ ইন সংস, মুভিজ অ্যান্ড এভরিহয়ার, আলহামদুলিল্লাহ (ওয়েল, গান, সিনেমা, সর্বত্রই আমি তোমাকে অনুভব করতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ)।’ এখান থেকেই গুঞ্জনের শুরু।
সেদিন মেহেদিতে রাঙানো ছিল মাহির হাত। আর পরনে ছিল গোলাপি রঙের একটি শাড়ি। সেই শাড়ি পরা একটি ছবিতে তাঁর পাশেই গাজীপুরের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিব। এর পর থেকে ফেসবুকে নানা রকম স্ট্যাটাস দিতে থাকেন এই অভিনেত্রী। তবে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উড়ো খবর বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এক দিন পরই একই শাড়িতে বেশ কটি ছবি পোস্ট করে মাহি ফেসবুকে লেখেন, ‘ধরো তোমার প্রেমে পড়লাম আর উঠলামই না।’
এখানেই শেষ নয়। জুন থেকেই ধারাবাহিকভাবে মাহির স্ট্যাটাস ভক্তদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। মাহি কি প্রেম করছেন, নাকি বিয়ে গোপন করেছেন? ১৪ জুন লেখেন, ‘মিসিং ইউ।’ ১৮ জুন, ‘আমি সারা দুনিয়া ঘুরিয়া দেখি, সুখ তো আমার ব্যালকনিতেই ছিল।’ কদিন পরই লেখেন, ‘একজন কেউ থাকুক যে তোমাকে ছাড়বে না।’ পরের দিন লিখেছেন, ‘যদি আমায় ভালোবাসো নব সাজে এসো।’ পরের মাসে ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যেতে দেখেছি, আবার ১২ দিনের সম্পর্ক আজীবন টিকে যেতেও দেখেছি।’ এর পরই তিনি প্রকাশ করেছেন, ‘জীবন অনেক সুন্দর।’ পরে একাধিক স্ট্যাটাসে মাহি প্রকাশ করেন, তিনি কাউকে মিস করেন।
অন্যদিকে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিব বলেন, ‘আমরা বন্ধু। এই জন্যই মাঝেমধ্যে ঘুরি। এখন বন্ধুর সঙ্গে কি ঘুরতেও পারব না।’ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, আপনারা বিয়ে করেছেন, আপনার মন্তব্য কী? এ প্রশ্নের উত্তরে হঠাৎ বলে ওঠেন, ‘মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। আপনার কথা বুঝিনি।’ তাঁর কথা পরিষ্কার শোনা গেলেও বারবার তিনি বলতে থাকেন, নেটওয়ার্কের সমস্যা, তিনি কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। পরে ফোনটি কেটে দেন।