ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় মোবাইল চুরির অপবাদে স্কুল শিক্ষার্থীকে (৯) রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ফাতেমা বেগম ও তাঁর ছেলে হিমেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আসামিদের তোলা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের কোর্ট পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
আসামি ফাতেমা বেগম ও তাঁর ছেলে হিমেল গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের তাতকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। নির্যাতনের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নে গত ৪ জুন শুক্রবার দুপুরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ওই শিশুকে নির্যাতন করেন ফাতেমা বেগম ও তাঁর ছেলে হিমেল। এর মধ্যেই নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ ঘটনায় জড়িত দুই নির্যাতনকারীকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তিন মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই শিশুটিকে জোর করে গামছা ও রশি দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করছেন এক নারী ও যুবক। শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে তাকে দুজন মিলে জোর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশকে জানান, এর আগেও একবার তাঁর ছেলেকে আম পেড়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এরপর তাঁর ছেলে জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে গত ৪ জুন শুক্রবার ফাতেমার ছেলে হিমেল ওই শিশুটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মোবাইল চুরির অপবাদে দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন করেন। পরে তিনি ঘটনাটি জানতে পেরে হিমেলদের বাড়িতে গিয়ে রশি খুলে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেছেন। দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’