এনবি নিউজ : দেড়শ সিনেমার নায়ক ছিলেন তিনি। সত্তর-আশির দশকে ঢাকাই সিনেমার অ্যাকশন এবং লোক ফ্যান্টাসি নায়ক হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হত তাঁকে। হাতেগোনা অল্প কিছু সিনেমা ছাড়া এই নায়কের প্রতিটি সিনেমাই হয়েছিল সুপারহিট। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন তিনি। যার প্রসঙ্গে এত কথা তিনি চিত্রনায়ক ওয়াসিম।
রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার দিবাগত রাতে এই নায়কের মৃত্যু হয়েছে।
এমন সফল ক্যারিয়ারের চিত্রনায়ক এক সময়ে এসে সিনে পর্দার দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছিলেন। আর এই বিদায়ের কারণ হিসেবে ছিল তাঁর স্ত্রী-কন্যার অকাল মৃত্যু।
গেল বছর এক সাক্ষাৎকারে এই চিত্রনায়ক সেই গল্পে জানিয়েছিলেন, ২০০০ সালে তাঁর স্ত্রীর অকাল মৃত্যু হয়। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ২০০৬ সালে ওয়াসিমের কন্যা বুশরা আহমেদ চৌদ্দ বছর বয়সে স্কুলের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। মূলত এই দুই ঘটনা ওয়াসিমের জীবনে বিষাদ নেমে আসে। সব কিছু থেকে দূরে সরে যান তিনি। বেছে নেন একাকী জীবন।
প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি। তবে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ সিনেমা তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।